৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ, অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা

তিন দফা দাবি আদায় এবং পুলিশের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে ৬৫ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সহকারী শিক্ষকরা ‘দশম গ্রেড বাস্তবায়ন ও স্থায়ী পদোন্নতির দাবিতে’ লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দুপুরের পর তারা শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়, এতে শিক্ষকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। এ ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মো. মাহবুবুর রহমানসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

পরে সন্ধ্যায় চারটি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে এবং শহীদ মিনারে অবস্থান অব্যাহত থাকবে।”

শিক্ষকদের তিন দফা দাবি

১. সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান।
২. উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান।
৩. সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। কর্মবিরতির কারণে আজ (রোববার) থেকে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

Read Previous

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত ছাড়াল ৬৯ হাজার

Read Next

ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’

Most Popular