ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর দেশটিতে অন্তত ৪৫০টির বেশি বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন ও ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এসব হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক জ্বালানি অবকাঠামো ও আবাসিক ভবন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনিপ্রো শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। জাপোরিঝিয়ায় রুশ হামলায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রাতভর কিয়েভসহ অন্তত ২৫টি স্থানে বিস্ফোরণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। এসব হামলার পর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কো শনিবার সকালে এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানান, রুশ হামলায় দেশটির পোলতাভা, খারকিভ ও কিয়েভ অঞ্চলের প্রধান জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধারে দ্রুত কাজ চলছে।”
আল-জাজিরা জানায়, এক রাতেই ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলায় মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবি, শুক্রবার রাতে রাশিয়া ৪৫০টিরও বেশি বিস্ফোরক ড্রোন ও ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ৪০৬টি ড্রোন ও ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে।
তবে রাশিয়া বেসামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা। তারা আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে পাঠানো ৭৯টি ড্রোন রুশ বাহিনী ভূপাতিত করেছে।
এই হামলার পর ইউক্রেনজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, জরুরি উদ্ধার অভিযান ও মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
