সবজির মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর খাবার পালং শাক। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, নিয়মিত পালং শাক খেলে শরীরের ভেতরে বহু উপকারী পরিবর্তন ঘটে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও পালং শাক ভরপুর থাকে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে। তাই একে ‘রক্ত পরিষ্কারক খাবার’ও বলা হয়।
রক্ত বাড়ায় ও শরীরকে করে আরও উদ্যমী
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলে এটি শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে। শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা সঠিক রাখায় পালং শাক দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
ওজন বাড়ার ভয় নেই
পালং শাকে ক্যালরির পরিমাণ অত্যন্ত কম। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমাণে বেশি খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। বরং এর ফাইবার হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি দেয়। এক কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ পূরণ করে।
চোখ ও হাড়ের জন্য দারুণ উপকারী
পালং শাকে থাকা উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ ও ‘কে’ হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়ক।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
এর ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও কিছুটা কমে।
ত্বক ও শরীরের প্রদাহ কমায়
পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘ই’ এবং জিঙ্ক—যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। পোড়া ঘা, ক্ষতস্থান বা ব্রণে টাটকা পালং পাতার রস ব্যবহারে উপকার মেলে বলেও উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সহায়ক
ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে পালং শাক প্রদাহজনিত ব্যথা কমাতেও কার্যকর। বিশেষ করে যাদের হাত-পায়ের জোড়ায় ব্যথা থাকে, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটো-কেমিক্যালসমৃদ্ধ এই শাক শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
পালং শাক একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি, যা রক্ত থেকে শুরু করে চোখ, হৃদ্পিণ্ড, ত্বক ও হাড়- সবকিছুরই যত্ন নেয়। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পালং শাক রাখলে সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখা সহজ হয়।
পালং শাক খেলে শরীরে কী ঘটে – জানালেন পুষ্টিবিদরা
সবজির মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর খাবার পালং শাক। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, নিয়মিত পালং শাক খেলে শরীরের ভেতরে বহু উপকারী পরিবর্তন ঘটে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও পালং শাক ভরপুর থাকে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে। তাই একে ‘রক্ত পরিষ্কারক খাবার’ও বলা হয়।
রক্ত বাড়ায় ও শরীরকে করে আরও উদ্যমী
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ফলে এটি শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে। শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা সঠিক রাখায় পালং শাক দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
ওজন বাড়ার ভয় নেই
পালং শাকে ক্যালরির পরিমাণ অত্যন্ত কম। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমাণে বেশি খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। বরং এর ফাইবার হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি দেয়। এক কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ পূরণ করে।
চোখ ও হাড়ের জন্য দারুণ উপকারী
পালং শাকে থাকা উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ ও ‘কে’ হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়ক।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
এর ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও কিছুটা কমে।
ত্বক ও শরীরের প্রদাহ কমায়
পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘ই’ এবং জিঙ্ক—যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। পোড়া ঘা, ক্ষতস্থান বা ব্রণে টাটকা পালং পাতার রস ব্যবহারে উপকার মেলে বলেও উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সহায়ক
ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে পালং শাক প্রদাহজনিত ব্যথা কমাতেও কার্যকর। বিশেষ করে যাদের হাত-পায়ের জোড়ায় ব্যথা থাকে, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটো-কেমিক্যালসমৃদ্ধ এই শাক শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
পালং শাক একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি, যা রক্ত থেকে শুরু করে চোখ, হৃদ্পিণ্ড, ত্বক ও হাড়- সবকিছুরই যত্ন নেয়। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পালং শাক রাখলে সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখা সহজ হয়।
