কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের বড় অংশ জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে। এতে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বাড়ছে এবং বড় নেতারাও জেল থেকে বেরিয়ে আসছে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্যরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের জামিন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতে আওয়ামী লীগপন্থি ১৬ বিচারক এখনও কর্মরত আছেন। তাদের কাছে জুলাই আন্দোলনের যে কোন মামলা গেলে তারা আসামিদের সহজে জামিন দিচ্ছেন। এজন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ‘ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও জামিনসংক্রান্ত তথ্য’ শিরোনামে পুলিশের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ মাসে এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৪৭২। এদের মধ্যে ৩২ হাজার ৩৭১ জন জামিন পেয়েছেন। অর্থাৎ মোট প্রায় ৭৩ শতাংশ আসামির জামিন হয়েছে।
এছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের রায়কে ঘিরে সন্ধ্যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশনা রয়েছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আর যেন কেউ ভাঙচুর বা হামলা করতে না পারে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপকারীদের গুলি করার নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বৈঠকে বলেন, কেউ আক্রমণ করলে আমি গুলি করার কথা বলেছি।
