চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন দুটি কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দিতে সরকার দুটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়ার চরে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য চুক্তি হয়েছে ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে। একই দিন ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেডলগের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
বন্দরের টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন ধরে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এবং বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছে। এ ছাড়া বন্দরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সংগঠনগুলোর নেতারা। তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে এসব চুক্তি করা এবং চুক্তির বিষয়গুলো প্রকাশ না করায় সরকারের সমালোচনা করছেন। বিদেশি কোম্পানির হাতে টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনার মাঝেই সরকার বন্দর ব্যবহারকারীদের ট্যারিফ বাড়ায়। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদেশিদের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার জন্যই মাশুল বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লালদিয়ার চরে টার্মিনাল নিয়ে চুক্তিতে সই করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপি), বাংলাদেশ সরকার এবং এপিএম টার্মিনালস কর্তৃপক্ষ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডা, বেজা ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্সমোলার,
এ.পি. মোলার-মার্স্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান রবার্ট মার্স্ক উগলা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান প্রমুখ। ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন একটি ভিডিও বার্তা দেন।
নৌ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘৫৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিজেদের জন্য আনিনি। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা এই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা আসছে, এটি তাদের জন্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেকেই বিনিয়োগ করতে আসে না। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন দেখলে আরও অনেক দেশ আসবে।’
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত লালদিয়া টার্মিনালে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখন কাজের কাজ কিছু হয়নি। এর কারণ, ঘুষ ছাড়া কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হতো না।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন, আমরা গর্বিত যে বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক একসঙ্গে প্রথমবারের মতো একটি যৌথ টার্মিনাল নির্মাণ করছে। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল বাংলাদেশের জন্য ‘গেটওয়ে টু দ্য ওয়ার্ল্ড’ হতে যাচ্ছে।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্সমোলার বলেন, টেকসই লজিস্টিকস ছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব নয়। ডেনমার্ক শুধু বিনিয়োগ নয়, টেকসই ও সবুজ লজিস্টিকস গড়ে তুলতেও কাজ করছে। শুধু এই প্রকল্পই নয়– ডেনমার্ক নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন এবং দক্ষ শ্রমবাজার গঠনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে।
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘লালদিয়া শেষ নয়। এখান থেকে বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির যাত্রা শুরু। আমরা অনেক সময় দেখেছি, ভালো ইঞ্জিন ভুল চেসিসে বসানো হয়। লালদিয়া সেই ভুল ভাঙার ইতিহাস।’
এ. পি. মোলার-মার্স্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান রবার্ট মার্স্ক উগলা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ ১০টি টার্মিনালের মধ্যে সাতটি এপিএম পরিচালনা করে। লালদিয়া টার্মিনাল শুধু বন্দর দক্ষতাই বাড়াবে না, বাংলাদেশের সাপ্লাই চেইন, কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর ৯০ শতাংশ নির্ভর করে। নতুন টার্মিনাল নির্মাণ না হলে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হবে। নতুন টার্মিনাল চালু হলে ‘টার্ন অ্যারাউন্ড’ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
লালদিয়া টার্মিনালের চুক্তির মেয়াদ ৩৩ বছর
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণে ৫৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে এপিএম টার্মিনালস। ২০৩০ সালে সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষ হবে। টার্মিনাল নির্মাণ শেষে এপিএম টার্মিনালস অপারেটর হিসাবে কাজ করবে। পিপিপি বা সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এটি নির্মাণ হবে। চুক্তির মেয়াদ ৩৩ বছর। পরে আরও ১৫ বছর বাড়ানো যাবে। টার্মিনালটির বার্ষিক হ্যান্ডলিং ক্ষমতা হবে ২০ লাখ টিইইউ। এতে দেশের কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে।
পানগাঁও টার্মিনালের দায়িত্বে সুইস প্রতিষ্ঠান
ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেল সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেডলগ। গতকাল বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মেডলগের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি হয়। ২২ বছর মেয়াদি চুক্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান ও মেডলগ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম আনিসুল মিল্লাত স্বাক্ষর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাছাকাছি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই টার্মিনাল বাংলাদেশের লজিস্টিক ও বাণিজ্য অবকাঠামোর উন্নয়নে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
চুক্তি অনুযায়ী মেডলগের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মেডলগ বাংলাদেশের মাধ্যমে টার্মিনালের কার্যক্রম, সরবরাহ ও অটোমেশন তত্ত্বাবধান করবে। পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম, সরবরাহ ব্যবস্থা ও অটোমেশন তত্ত্বাবধান করবে। এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সামাল দিতে টার্মিনালের সুবিধা বাড়ানো হবে এবং বার্ষিক হ্যান্ডলিং সক্ষমতা এক লাখ ৬০ হাজার টিইইউতে উন্নীত করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাল্টিমোডাল সংযোগ জোরদার করতে পানগাঁওকে অন্যান্য নৌবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করতে মেডলগ অভ্যন্তরীণ বার্জ ভাড়া করবে। এসব বার্জ বৃহৎ পণ্য পরিবহন করতে পারবে। পাশাপাশি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও রিফার যানবাহন যুক্ত হওয়ায় পুরো অঞ্চলে নতুন সরবরাহ চ্যানেল খোলা হবে। উন্নত আন্তঃমোডাল পরিবহন অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থার অনিশ্চয়তা কমাবে এবং লিড টাইম নিশ্চিত করবে, যা আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।
পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালে থাকবে দুটি মোবাইল হারবার ক্রেন, রিফার কানেকশন এবং ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সুবিধা। পাশাপাশি থাকবে খালি কনটেইনার স্টোরেজ, মেরামত ইয়ার্ড এবং স্টাফিং-স্ট্রিপিংয়ের জন্য ১০ হাজার বর্গমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশন।
লালদিয়া নিয়ে চুক্তি নতুন যুগের সূচনা– প্রধান উপদেষ্টা
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, লালদিয়া টার্মিনালে ডেনমার্কের কোম্পানি এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি ডেনমার্ক ও ইউরোপ থেকে বৃহত্তর ও বহুমুখী বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে।
গতকাল রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মায়ের্স্ক গ্রুপ ও ডেনমার্ক সরকারের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এপিএম (এপি মোলার-মায়ের্স্ক) টার্মিনালসের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মায়ের্স্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান রবার্ট মায়ের্স্ক উগলা প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন। ডেনমার্কের বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লিনা গান্দলোসে হ্যানসেনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসা উগলা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনালে তাঁর কোম্পানির বিনিয়োগ হবে বাংলাদেশে কোনো ইউরোপীয় কোম্পানির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ২০৩০ সালে লালদিয়া টার্মিনাল চালু হলে এটি চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ আগমনের সুযোগ তৈরি করবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতি সঞ্চার করবে। ডেনিশ কোম্পানির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।
অধ্যাপক ইউনূস এপিএম টার্মিনালসকে লালদিয়া টার্মিনালের নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে। এটি হবে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার।
হরতাল ও অবরোধের হুমকি স্কপের
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, লালদিয়ার চর ও পানগাঁও টার্মিনাল ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। সরকারের নির্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে বিদেশি অপারেটরের কাছে এই দুটি টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার চুক্তি করায় স্কপ নেতারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। চুক্তি বাতিল না করলে হরতাল ও ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাঙ্ক রোড অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করারও হুমকি দিয়েছেন তারা।
স্কপ নেতারা জানান, স্টেকহোল্ডারদের মতামত উপেক্ষা করে পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই এই দীর্ঘমেয়াদি ইজারা চুক্তি করা হয়েছে। এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরকার অবিলম্বে সরে না এলে আগামী ২২ নভেম্বর কনভেনশন করবেন তারা। সেখান থেকে হরতাল ও ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাঙ্ক রোড অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি এস কে খোদা তোতন, বিএফটিইউসি যুগ্ম সম্পাদক রিজউয়ানুর রহমান খান, ডক শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম, বন্দর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খোকন, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নুরুল আবসার তৌহিদ প্রমুখ।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে সক্ষমতা ও আয় বাড়বে
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছে এই চুক্তির মাধ্যমে লোকসানে থাকা পানগাঁও টার্মিনাল লাভজনক হবে। লালদিয়া টার্মিনালের অবকাঠামোও গড়ে উঠবে আন্তর্জাতিক মানে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী কাজ হলে এই দুটি টার্মিনাল চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াবে। বাড়াবে আয়ও।’
