একই স্থানে বারবার কম্পন হলে সামনে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ বলেন, ‘ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। একই স্থানে বারবার কম্পন হলে বুঝতে হবে সামনে বড় আসছে। সে বিষয়ে অপেক্ষা করতে হবে আরও চার-পাঁচদিন। তারপর বোঝা যাবে কী হয়।’
গতকাল শুক্রবার সকালে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার পূর্বে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলা। এতে দুই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর আজ শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলা। পরে আবার শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যে কম্পন অনুভূত হয়েছে তার উৎপত্তিস্থল রাজধানীর বাড্ডায় এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস-এর তথ্য মতে, ভূমিকম্পের মাত্রা ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এ বিষয়ে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ বলেন, ‘বিগত ২ দিনে যে তিনটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তিনটিরই উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে।’ একই স্থানে বারবার কম্পন হলে সামনে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
