ঢেঁড়স ভেজানো পানি-কেন এটি এত উপকারী?

ঘরে বসে বানানো স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে ঢেঁড়সের পানি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টাটকা ঢেঁড়স কেটে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখেই এটি তৈরি করা যায়। দেখতে সাধারণ হলেও স্বাস্থ্যের জন্য এটি দারুণ উপকারী।

ঢেঁড়সের ভিতরে থাকে নরম জেলি জাতীয় আঁশ (মিউসিলেজ) যা পানিকে পিচ্ছিল করে, কিন্তু শরীরের জন্য টনিকের কাজ করে। এছাড়াও রয়েছে দ্রবণীয় আঁশ, ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো শরীরের হজম, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

চলুন জেনে নিই ঢেঁড়স পানির উপকারিতা –

১. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে – কিছু ছোট গবেষণা দেখিয়েছে ঢেঁড়স বা এর নির্যাস ফাস্টিং ব্লাড সুগার কমাতে পারে। প্রিডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিস মডেলে এটির ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। যদিও এখনও গবেষণা প্রয়োজন।

২. হজমের জন্য উপকারী – মিউসিলেজ পেটকে শান্ত রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়ক। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রদাহ কমায় এবং হজমের জন্য ভালো ব্যাকটেরিয়ার বিকাশে সাহায্য করে।

৩. কোলেস্টেরল কমাতে পারে – ঢেঁড়সের দ্রবণীয় আঁশ অন্ত্রে কোলেস্টেরল বেঁধে শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। কিছু প্রাণী ও মানব গবেষণা বলছে, এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) কমাতে ঢেঁড়স কার্যকর। ঢেঁড়সে থাকা কুয়েরসেটিন ও রুটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের জন্য বাড়তি সাপোর্ট দেয়।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – ঢেঁড়সের পানি পেটে গিয়ে ফুলে ওঠে, হজম ধীর করে এবং ক্ষুধা কমায়। ডায়েট ও ব্যায়ামের সঙ্গে রাখলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

৫. কোমল প্রাকৃতিক টনিক ও ল্যাক্সেটিভ – ঢেঁড়সের জেলি জাতীয় আঁশ হজমকে শান্ত রাখে এবং প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টের মতো কাজ করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, তাদের জন্য এটি সহায়ক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

কীভাবে বানাবেন এই ঢেঁড়সের পানি-

২-৫টি টাটকা ঢেঁড়স ধুয়ে ছোট বা লম্বা করে কেটে ১-২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রাখুন (সারারাত ভিজিয়ে রাখা ভালো)। সকালে ঢেঁড়স সরিয়ে পানি নেড়ে খালি পেটে বা খাবারের আগে পান করুন।

ঢেঁড়সের পিচ্ছিল ভাব কমানোর কৌশল

লেবু বা লেবুর রস যোগ করলে টক স্বাদ আসে এবং পিচ্ছিল ভাব কমে।ঠান্ডা করে পান করলে স্বাদ আরও ভালো লাগে।ফ্লেভার বাড়াতে আদা, পুদিনা, তুলসি বা দারুচিনি মেশানো যায়।অল্প মধু দিলে স্বাদ মিষ্টি হয়, তবে বেশি নয়।স্ট্র দিয়ে পান করলে টেক্সচার কম টের পাওয়া যায়।

সতর্কতা
ঢেঁড়সে অক্সালেট থাকে, কিডনিতে পাথর হলে সাবধানে খান। একসাথে বেশি পান করলে পেট ফাঁপা বা পাতলা পায়খানা হতে পারে। ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে ডাক্তারকে জানিয়ে নিয়ম করুন।

ঢেঁড়সের পানি একটি সহায়ক স্বাস্থ্য টনিক। এটি নিয়মিত পান করলে তা হজম, রক্তের শর্করা, কোলেস্টেরল এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী, তবে চিকিৎসার বিকল্প নয়।

ঢেঁড়স ভেজানো পানির উপকারিতা জানেন?

ঘরে বসে বানানো স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে ঢেঁড়সের পানি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টাটকা ঢেঁড়স কেটে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখেই এটি তৈরি করা যায়। দেখতে সাধারণ হলেও স্বাস্থ্যের জন্য এটি দারুণ উপকারী।

ঢেঁড়সের ভিতরে থাকে নরম জেলি জাতীয় আঁশ (মিউসিলেজ) যা পানিকে পিচ্ছিল করে, কিন্তু শরীরের জন্য টনিকের কাজ করে। এছাড়াও রয়েছে দ্রবণীয় আঁশ, ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো শরীরের হজম, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

চলুন জেনে নিই ঢেঁড়স পানির উপকারিতা –

১. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে – কিছু ছোট গবেষণা দেখিয়েছে ঢেঁড়স বা এর নির্যাস ফাস্টিং ব্লাড সুগার কমাতে পারে। প্রিডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিস মডেলে এটির ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। যদিও এখনও গবেষণা প্রয়োজন।

২. হজমের জন্য উপকারী – মিউসিলেজ পেটকে শান্ত রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়ক। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রদাহ কমায় এবং হজমের জন্য ভালো ব্যাকটেরিয়ার বিকাশে সাহায্য করে।

৩. কোলেস্টেরল কমাতে পারে – ঢেঁড়সের দ্রবণীয় আঁশ অন্ত্রে কোলেস্টেরল বেঁধে শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। কিছু প্রাণী ও মানব গবেষণা বলছে, এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) কমাতে ঢেঁড়স কার্যকর। ঢেঁড়সে থাকা কুয়েরসেটিন ও রুটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের জন্য বাড়তি সাপোর্ট দেয়।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – ঢেঁড়সের পানি পেটে গিয়ে ফুলে ওঠে, হজম ধীর করে এবং ক্ষুধা কমায়। ডায়েট ও ব্যায়ামের সঙ্গে রাখলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

৫. কোমল প্রাকৃতিক টনিক ও ল্যাক্সেটিভ – ঢেঁড়সের জেলি জাতীয় আঁশ হজমকে শান্ত রাখে এবং প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টের মতো কাজ করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, তাদের জন্য এটি সহায়ক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

কীভাবে বানাবেন এই ঢেঁড়সের পানি-

২-৫টি টাটকা ঢেঁড়স ধুয়ে ছোট বা লম্বা করে কেটে ১-২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রাখুন (সারারাত ভিজিয়ে রাখা ভালো)। সকালে ঢেঁড়স সরিয়ে পানি নেড়ে খালি পেটে বা খাবারের আগে পান করুন।

ঢেঁড়সের পিচ্ছিল ভাব কমানোর কৌশল
লেবু বা লেবুর রস যোগ করলে টক স্বাদ আসে এবং পিচ্ছিল ভাব কমে।ঠান্ডা করে পান করলে স্বাদ আরও ভালো লাগে।ফ্লেভার বাড়াতে আদা, পুদিনা, তুলসি বা দারুচিনি মেশানো যায়।অল্প মধু দিলে স্বাদ মিষ্টি হয়, তবে বেশি নয়।স্ট্র দিয়ে পান করলে টেক্সচার কম টের পাওয়া যায়।

সতর্কতা
ঢেঁড়সে অক্সালেট থাকে, কিডনিতে পাথর হলে সাবধানে খান। একসাথে বেশি পান করলে পেট ফাঁপা বা পাতলা পায়খানা হতে পারে। ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে ডাক্তারকে জানিয়ে নিয়ম করুন।

ঢেঁড়সের পানি একটি সহায়ক স্বাস্থ্য টনিক। এটি নিয়মিত পান করলে তা হজম, রক্তের শর্করা, কোলেস্টেরল এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী, তবে চিকিৎসার বিকল্প নয়।

Read Previous

হাঁটার সঠিক সময় কোনটি-সকাল নাকি সন্ধ্যা?

Read Next

ভূমিকম্পের পর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস

Most Popular