হার্ট অ্যাটাক নাকি স্ট্রোক-লক্ষণেই মিলবে সহজ পার্থক্য

হঠাৎ কোনো মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়লে বা তীব্র ব্যথা অনুভব করলে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি স্ট্রোক। অথচ এই দুই জরুরি চিকিৎসাজনিত অবস্থার উপসর্গ দ্রুত শনাক্ত করা গেলে মৃত্যুঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়। তাই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের পার্থক্য জানা জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট অ্যাটাক ঘটে হৃদপেশিতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে, আর স্ট্রোক ঘটে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হলে। উপসর্গের ধরণও তাই আলাদা। তবে অজ্ঞতার কারণে অনেকেই সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, ফলে বাড়ে জটিলতার ঝুঁকি।

হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ

চিকিৎসকদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের সময় সাধারণত বুকের মাঝখানে তীব্র ব্যথা হয়, যা ঘাড়, কাঁধ বা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি দেখা যেতে পারে-

১.বুক ধড়ফড় বা চাপ অনুভব

২.অতিরিক্ত ঘাম হওয়া

৩.বমি বমি ভাব

৪.হঠাৎ শ্বাসকষ্ট

.মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।

স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ

স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সাধারণত মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হঠাৎ কমে যায়। উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকে-

১.মুখের এক পাশ বেঁকে যাওয়া

২.কথা জড়ানো বা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া

৩.শরীরের এক পাশ অবশ বা দুর্বল হয়ে যাওয়া

৪.দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া

৫.ভারসাম্য হারানো বা তীব্র মাথাব্যথা

দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বাড়বে বাঁচার সম্ভাবনা

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, হার্ট অ্যাটাকের পর প্রথম এক ঘণ্টা ‘গোল্ডেন আওয়ার’ নামে পরিচিত। এই সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে ঝুঁকি অনেক কমে। অন্যদিকে, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রথম ৩–৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।

Read Previous

ঝুঁকিপূর্ণ শত শত ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম, বাড়ছে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

Read Next

শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির মামলার রায় আজ, আদালতে নিরাপত্তা জোরদার

Most Popular