এক মাসের বেশি সময় আগে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার এক কিশোরকে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার শিশু আদালত-৯–এর বিচারক শাহানা হক বুধবার (২৬ নভেম্বর) আদেশ দেন।
ওই কিশোর গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২১ অক্টোবর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া হয়। এর পর থেকে কারাবন্দী আছে ছেলেটি।
পুলিশ বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিল থেকে তাকে আটক করা হয়েছিল। তবে ছেলেটির বাবা বলছেন, তার ছেলে মিছিলে যায়নি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ আটক করে। পরে তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই কিশোরের বাবা আবু তাহের বুধবার (২৬ নভেম্বর) বলেন, তার ছেলে গত ২১ অক্টোবর গাজীপুর থেকে উত্তরার মাস্কট প্লাজায় বই কিনতে যায়। সেখানে কে বা কারা মিছিল করে সে জানত না। ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ধরে তাকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি থানায় গিয়ে ছেলেকে দেখতে পান। এরপর থেকে আজ ১ মাস ৬ দিন হয়েছে ছেলে কারাবন্দী।
ওই কিশোরের আইনজীবী গোলাম রাব্বানী ও কামরুল হোসেন জানান, ছেলেটিকে গ্রেপ্তারের পর তার বয়স ১৯ বছর লিখেছিল পুলিশ। তারা আদালতে কাগজপত্র দাখিল করে প্রমাণ করেছেন, সে অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাকে রাস্তা থেকে আটক করা হয়েছে। কয়েক দফায় জামিনের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেননি। মঙ্গলবার তারা তার দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় বসার জন্য অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। আদালত আদেশের জন্য আজকে দিন ধার্য করেন। বুধবার বিচারক তাকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছেন।
ছেলেটির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে পুলিশ বলেছে, গত ২১ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টরে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অপু ও তাকে আটক করে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন বিকেলে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান মামলা করেন।
ছেলেটির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সে আমাদের শিক্ষার্থী। সে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে কারাগারে নেওয়ার কথা শুনেছি। স্কুলে তাকে কোনো রাজনৈতিক কাজে দেখিনি। বাইরে কী করে, আমাদের জানা নেই।’এক মাসের বেশি সময় আগে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার এক কিশোরকে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার শিশু আদালত-৯–এর বিচারক শাহানা হক বুধবার (২৬ নভেম্বর) আদেশ দেন।
ওই কিশোর গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২১ অক্টোবর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া হয়। এর পর থেকে কারাবন্দী আছে ছেলেটি।
পুলিশ বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিল থেকে তাকে আটক করা হয়েছিল। তবে ছেলেটির বাবা বলছেন, তার ছেলে মিছিলে যায়নি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ আটক করে। পরে তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই কিশোরের বাবা আবু তাহের বুধবার (২৬ নভেম্বর) বলেন, তার ছেলে গত ২১ অক্টোবর গাজীপুর থেকে উত্তরার মাস্কট প্লাজায় বই কিনতে যায়। সেখানে কে বা কারা মিছিল করে সে জানত না। ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ধরে তাকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি থানায় গিয়ে ছেলেকে দেখতে পান। এরপর থেকে আজ ১ মাস ৬ দিন হয়েছে ছেলে কারাবন্দী।
ওই কিশোরের আইনজীবী গোলাম রাব্বানী ও কামরুল হোসেন জানান, ছেলেটিকে গ্রেপ্তারের পর তার বয়স ১৯ বছর লিখেছিল পুলিশ। তারা আদালতে কাগজপত্র দাখিল করে প্রমাণ করেছেন, সে অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাকে রাস্তা থেকে আটক করা হয়েছে। কয়েক দফায় জামিনের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেননি। মঙ্গলবার তারা তার দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় বসার জন্য অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। আদালত আদেশের জন্য আজকে দিন ধার্য করেন। বুধবার বিচারক তাকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছেন।
ছেলেটির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে পুলিশ বলেছে, গত ২১ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টরে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অপু ও তাকে আটক করে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন বিকেলে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান মামলা করেন।
ছেলেটির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সে আমাদের শিক্ষার্থী। সে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে কারাগারে নেওয়ার কথা শুনেছি। স্কুলে তাকে কোনো রাজনৈতিক কাজে দেখিনি। বাইরে কী করে, আমাদের জানা নেই।’
