রমজান মাসের আগমন নিকটবর্তী হলেও খেজুরের বাজারে অস্থিরতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুল্কহার পুনঃনির্ধারণে জটিলতা ও বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে ঘোষণার ফলে দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি ও বাজারজাতকরণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে ৬ হাজার ৭৬১ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করা হয়েছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি। তবু ব্যবসায়ীরা শুল্ক কমার আশায় অধিকাংশ খেজুর বন্দরে ফেলে রেখেছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার মো. শওকত হোসেন জানান, “শুল্কসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে খেজুর আমদানি করছেন। প্রতিবার রমজান উপলক্ষে এমন অস্থিরতা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”
ব্যবসায়ীদের মতে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তৎকালীন সরকার আমদানিকৃত খেজুরকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে ঘোষণার পর শুল্ক ১ থেকে ৩ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, বিশ্ব বাজারে খেজুরের দামও বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকরা শুল্ক কমানোর দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে ৫ কেজির প্রতি প্যাকেজ মেডজুল খেজুর সাড়ে সাত হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর সর্বনিম্ন আজোয়া খেজুরের দাম আড়াই হাজার টাকা। তবে রমজান উপলক্ষে সরকার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ও আমদানি শুল্ক যৌক্তিককরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশে রমজান মাসে ইফতারের জন্য প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন খেজুরের চাহিদা থাকে। এই খেজুর সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, জর্ডান, ইরাক, ইরান এবং তিউনিশিয়া থেকে আমদানি করা হয়।
