শীতের সময়ে ঠান্ডা-কাশিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় সকালে পাকা কলা খাওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই রয়েছে দ্বিধা। এই বিষয়ে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন দিক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা লাগলে পাকা কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়। বরং এতে থাকা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম ও ফাইবার শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন।
চিকিৎসকদের ভাষ্য-“কলার স্বভাব শীতল, তবে এটি ঠান্ডা আরও বাড়িয়ে দেয়-এমন ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে দৃঢ় নয়। সমস্যাটি হয় মূলত তখনই, যখন কারও কফ, সাইনাস বা অ্যালার্জি খুব বেশি বেড়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে সকালে কলা খেলে গলা ভারী লাগতে পারে, কফ জমতে পারে।”
পুষ্টিবিদরা জানান, হালকা ঠান্ডা বা সাধারণ নাক–বন্ধ অবস্থায় পাকা কলা খাওয়ায় সমস্যা নেই। বরং এটি পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী এবং শরীর দ্রুত শক্তি পায়। তবে যাদের অতিরিক্ত কফ জমে, তাদের জন্য সকালে বা রাতে কলা এড়িয়ে চলা ভালো।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ-
১.তীব্র ঠান্ডা বা কফ বাড়লে সকালে কলা না খাওয়াই ভালো।
২.স্বাভাবিক ঠান্ডা থাকলে গরম পানি বা হালকা গরম খাবারের সঙ্গে কলা খেলে সমস্যা হয় না।
৩.ছোট শিশু বা অ্যালার্জিপ্রবণদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
চিকিৎসকরা মনে করিয়ে দেন, ঠান্ডা বাড়ানোর মূল কারণ সাধারণত আবহাওয়া, ভাইরাস বা অ্যালার্জি; খাবার সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেই উপসর্গ কমানো সম্ভব।
