শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সল করিম মাসুদের এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম মো. কবির। তিনি ঘটনার কয়েক দিন আগে মাসুদ করিমের সঙ্গে বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী সোমবার রাতে বলেন, আগের দিন রাতে নারায়গঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আজ উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সল করিম মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ওসমান হাদিকে গুলি করেছিলেন বলে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ধারণা করছেন তদন্ত–সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। ফয়সল করিমকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তার স্ত্রী পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো কবিরের নাম।
র্যাবের দেওয়া তথ্য মতে, কবিরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামে। ফয়সল করিমের গ্রামের বাড়িও পটুয়াখালীতে।
র্যাব কর্মকর্তা ইন্তেখাব চৌধুরী বলেছেন, কবির গত ৫ ডিসেম্বর ফয়সল করিমের সঙ্গে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। প্রথমে তিনি স্বীকার করেননি। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাকে দেখা গেছে। ওই ফুটেজ দেখানোর পর কবির স্বীকার করেছেন ফয়সল করিম ও তিনি সেদিন ওই প্রতিষ্ঠান দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।
