বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমের যৌন হয়রানির অভিযোগে সরগরম পুরো ক্রিকেটাঙ্গন। দেশের নারী ক্রিকেটে দীর্ঘদিন অবদান রাখা এই পেসার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু এবং প্রয়াত সাবেক ইনচার্জ তাওহীদ মাহমুদের বিরুদ্ধে।
গত ৬ নভেম্বর ক্রীড়া সাংবাদিক রিয়াসাদ আজিমকে দেওয়া এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে জাহানারা অভিযোগ করেন, বিসিবির কাছে বিষয়টি জানানোর পরও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। তার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর থেকেই ক্রিকেটপাড়া উত্তাল হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে আরও কয়েকজন নারী ক্রিকেটারও মুখ খুলেছেন নানা অভিযোগ নিয়ে।
এই ঘটনার পর শনিবার (৮ নভেম্বর) নারী ক্রিকেটারদের ঘিরে ওঠা আচরণবিধি লঙ্ঘন ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি তারিক উল হাকিম কমিটির কনভেনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—বিসিবির পরিচালক রুবাবা দৌলা এবং বাংলাদেশ নারী ক্রীড়া সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা।
বিসিবি জানিয়েছে, কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বোর্ড।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অভিযুক্ত সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেন,
“অভিযোগের পর বিসিবি জানিয়েছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। বিসিবি ছাড়াও রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়, আমি সেগুলোতেও অংশ নেব এবং আমার বক্তব্য তুলে ধরব। এর আগে আমি এ বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকছি।”
এদিকে, জাহানারার অভিযোগে সমর্থন জানিয়ে এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি তুলেছেন দেশের তিন সাবেক অধিনায়ক—মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। তারা বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।
