
শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সিলেবাস আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ লক্ষ্যে স্নাতক সম্মানের পাঠ্যক্রমে আইসিটি ও ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটুআই, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ইউনিসেফসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিল্পখাত ও আধুনিক প্রযুক্তির বাস্তব চাহিদার সঙ্গে শিক্ষার সমন্বয় নিশ্চিত করতেই এ সিলেবাস সংস্কার বলে মন্তব্য করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা শেষে দীর্ঘ সময় বেকার না থেকে দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।”
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সিলেবাস সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের শিক্ষকই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের পরামর্শ ও মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষদের শিক্ষক সমাজকে অবহিত ও সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
কারিগরি ও প্রফেশনাল শিক্ষার প্রসঙ্গে ভিসি জানান, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করছে। একই সঙ্গে দ্রুত চাকরির সুযোগ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের শৈল্পিক ও বাণিজ্যিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ জেলায় প্রফেশনাল ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটের ঘাটতি রয়েছে। নতুন নতুন প্রফেশনাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি।”
সভায় তিনি আরও জানান, কলেজ পরিচালনা পর্ষদ গঠনে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ চলছে, যেখানে কলেজ অধ্যক্ষদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক আব্দুল মালেক। সভায় জেলার বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষগণ কলেজ পরিচালনা, শিক্ষাগত কার্যক্রম, অবকাঠামোসহ নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
