মাথা ঘোরা প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের ৫ পরামর্শ

হঠাৎ মাথা ঘুরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বা কাজের মাঝেই আচমকা চোখের সামনে অন্ধকার দেখা-এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা নিয়ে বিভ্রান্ত হন বেশিরভাগ মানুষ। চিকিৎসকদের মতে, মাথা ঘোরা সাধারণ সমস্যা হলেও এটি অবহেলা করা উচিত নয়, কারণ পড়ে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

হঠাৎ মাথা ঘুরলে যা করবেন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাথা ঘোরার অনুভূতি শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ কোনো নিচু স্থানে বসে পড়া উচিত। সুযোগ থাকলে কিছুক্ষণ টানটান হয়ে শুয়ে থাকা দ্রুত আরাম দেয়। যাদের ভার্টিগো বা কানজনিত সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে অন্ধকার ঘরে চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেওয়া ফলপ্রসূ হতে পারে।

এ সময়ে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করলে উপসর্গ দ্রুত কমে। তবে কয়েক মিনিট পরও সমস্যা না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কেন মাথা ঘোরে

চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত পরিশ্রম, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, কিংবা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে। এছাড়া অন্তঃকর্ণের প্রদাহ, রক্তনালির অস্বাভাবিকতা, মেনিয়ারস রোগ, দৃষ্টিগত সমস্যা, উচ্চতায় ওঠা-নামা বা চলন্ত যান থেকে প্ল্যাটফর্মে তাকালেও মাথা ঘোরা অনুভূত হতে পারে।

এর পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ঘাড়ের রক্তনালিতে বাধা, মস্তিষ্কে টিউমার, মাল্টিপল স্ক্লেরসিস, ভাইরাসজনিত ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস বা পেট্রাস হাড়ে আঘাতজনিত ক্ষতও মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া ও শরীরে পানিশূন্যতা থাকলেও মাথা ঘোরে। অনেক সময় কানে শোঁ শোঁ শব্দ বা মাথা নড়াচড়া করলে সমস্যা বাড়তে-কমতে পারে।

মাথা ঘোরা প্রতিরোধে ৫ উপায়

বিশেষজ্ঞরা মাথা ঘোরার ঝুঁকি কমাতে কয়েকটি নিয়ম মানার পরামর্শ দিয়েছেন—

১. দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ ও দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস পরিহার করতে হবে। ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নেওয়া উপকারী।

২. ঘাড় সোজা রাখা: ঘাড়ের ভুল ভঙ্গিতে ধমনি চাপে রক্তপ্রবাহ কমে মাথা ঘোরা বাড়তে পারে। তাই সঠিক ভঙ্গিতে বসা–দাঁড়ানো জরুরি।

৩. অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা: শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিলে মাথা ঘোরার ঝুঁকি বাড়ে। কাজের পরিকল্পনা করে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।

৪. সময়মতো খাবার খাওয়া: খাবার না খেলে রক্তে সুগার কমে মাথা ঘোরে। তাই সঠিক সময়ে খাদ্যগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

৫. পর্যাপ্ত পানি পান: ঘাম বা গরমে শরীরের পানি কমে গেলে মাথা ঘোরা দেখা দেয়। সারাদিন শরীর পানিপূর্ণ রাখতে নিয়মিত পানি পান করা জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথা ঘোরা যদি ঘন ঘন হয় বা অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে দেখা দেয়, তবে চটজলদি চিকিৎসকের শরণ নেওয়াই উত্তম।

যদি ঘন ঘন হয় বা অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে দেখা দেয়, তবে চটজলদি চিকিৎসকের শরণ নেওয়াই উত্তম।

Read Previous

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Read Next

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

Most Popular