শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা নির্ধারণ – ১ ডিসেম্বর

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, এবং ব্রিটিশ সংসদ সদস্য টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প-এ ১০ কাঠা জমি বরাদ্দ নিয়ে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে।

এই তথ্য মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক আদালত সূত্রে পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ করেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউককে ভুল তথ্য ও জাল হলফনামার ভিত্তিতে ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মামলাটি পৃথক তিনটি মামলার সমষ্টি; দুদকের পক্ষ থেকে একই ঘটনায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

চার্জশিটে মোট ১৭ জন আসামি আছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা।

মামলায় ৩২ জন সাক্ষী ইতিমধ্যেই জবানবন্দি দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে উভয় পক্ষ (দুদক এবং আসামিপক্ষ) তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
আদালত পরিচালনায় বিচারক মো. রবিউল আলম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবং যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে, এবং মামলাটি রায় ঘোষণার পর্যায়ে রয়েছে।

দুদকের আইনজীবীদের মতে, আসামিদের বিরুদ্ধে “আগ্রাসীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার” করার অভিযোগ, এবং এতে জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
একদিকে, মামলায় সরকারি কর্মকর্তারাও দায়ী করা হয়েছে; যেমন, রাজউকের সাবেক কর্মকর্তা খুরশিদ আলম, যিনি তার আইনজীবীর যুক্তি দিয়েছেন যে তিনি শুধুমাত্র উপরের নির্দেশ ন্যাযভাবে মেনে চলেছিলেন।

এছাড়া, মামলায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হলফনামা, এবং “অবৈধ প্রভাব বিস্তার” করার অভিযোগ আছে।

এই মামলা রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে, কারণ এটি শেখ হাসিনার পরিবারকে কেন্দ্র করে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও গৃহায়ন প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে নিয়ে আসছে।

টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য, তার আন্তর্জাতিক প্রোফাইল ও রাজনৈতিক প্রভাবকে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মামলার ফলাফল দেশীয় রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা যোগ করতে পারে, বিশেষত ক্ষমতার পরিবর্তন ও আইনি জবাবদিহিতার দৃষ্টিকোণ থেকে।

১ ডিসেম্বরের রায় এই মামলার জন্য নির্ণায়ক মুহূর্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে। রায় যদি আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে গড়া হয়, তাহলে এটি শুধু একটি আইনি সিদ্ধান্তই হবে না – রাজনৈতিক মঞ্চে প্রচলিত অভিযোগ ও সমালোচনার প্রেক্ষাপটেও তা গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, আদালত ও আইন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা প্রয়োজনে নজরদারি ও সাংবাদিক মনোযোগ অব্যাহত রাখার দাবি উঠছে।

Read Previous

বাউল আবুল সরকারের কঠোর শাস্তি চাইলেন রাশেদ খাঁন

Read Next

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ১৫ জনের চাকরির সুযোগ

Most Popular