ভারতের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। প্রাথমিক প্রবণতা বলছে- বিরোধী মহাগঠবন্ধনের তুলনায় শাসক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে।
২৪৩ আসনের এই বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। এনডিএ অন্তত ৬৮টির বেশি আসনে এগিয়ে। অপরদিকে মহাগঠবন্ধন এগোচ্ছে ৪০টির মতো আসনে।
যদিও গণনার অগ্রগতির সঙ্গে সংখ্যাগুলো ওঠানামা করছে, তবু মোট প্রবণতা এনডিএ-র পক্ষে সুস্পষ্ট।
মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধিন এই জোটের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর তুলনায় বেশি আসনে লিড ধরে রেখেছে।
মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী মুখ তেজস্বী প্রসাদ যাদব রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে শুরুতেই এগিয়ে যান এবং পরপর কয়েক রাউন্ডে এনডিএ প্রার্থী সতীশ কুমারকে পিছনে ফেলেন। আরজেডি এককভাবে জোটের মধ্যে সর্বাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কংগ্রেস ও বাম দলও নিজেদের উপস্থিতি ধরে রেখেছে বিভিন্ন কেন্দ্র্রে।
৬ ও ১১ নভেম্বর দুই দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ; যা বিহারের সাম্প্রতিক নির্বাচনী ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৫.০৮%, দ্বিতীয় দফায় ৬৮.৭৮%।
প্রথম দফার দিনে কয়েকটি জেলার কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর এলেও সমগ্র নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
এই নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বারবার জোট পরিবর্তন করে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে সরকার গঠন করার পর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি পুনরায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ফিরে আসেন।
এই দলবদলের প্রভাব ভোটাররা কীভাবে বিবেচনায় নেবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ ছিল। তবে, প্রাথমিক ফলাফল বলছে, দলবদল ইস্যুতে এনডিএর ভোটব্যাংক উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
গণনা চলবে বিকাল পর্যন্ত। সন্ধ্যার দিকে বেশিরভাগ আসনের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
