নাক ডাকা বা “স্নোরিং” সাধারণত ঘুমের সময় শ্বাসনালীতে বাধার কারণে ঘটে এবং এটি শুধুমাত্র শারীরিক অস্বস্তি নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে জীবনধারার পরিবর্তন এবং সঠিক যত্নের মাধ্যমে নাক ডাকাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, নাক ডাকার প্রধান কারণ হলো গলার পেশি শিথিল হয়ে শ্বাসনালী সংকুচিত হওয়া, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, অ্যালার্জি বা নাকের গঠনগত সমস্যা। শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টনসিল বা অ্যাডেনয়েডের বৃদ্ধি নাক ডাকাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
বাংলাদেশ ঘুম ও নিদ্রা বিশেষজ্ঞ সমিতির সভাপতি ডা. রাশিদা খাতুন বলেন, “নিয়মিত ওজন নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার, এবং ঘুমের সময় পাশে শোয়া নাক ডাকার মাত্রা অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া নাকের ভিতরের বাধা দূর করতে কখনও কখনও চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, যারা দীর্ঘমেয়াদে নাক ডাকে, তাদের ঘুমে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই নাক ডাকাকে কখনও অল্প সমস্যা মনে না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
১। নাক ডাকাকে কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা কিছু সহজ টিপস দিয়েছেন-
২। ঘুমানোর সময় পাশের দিকে শোয়া ।
৩। অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ।
৪। ঘুমের আগে অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়িয়ে চলা ।
৫। নাকের ভিতরের অ্যালার্জি বা বাঁধা ঠিক করা ।
৬। রাতের ঘুমে পর্যাপ্ত পানি পান।
ডা. রাশিদা খাতুন বলেন, “যদি নাক ডাকার সঙ্গে শ্বাস বন্ধ হওয়ার ঘটনা দেখা দেয় বা ঘুমের মধ্যে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয়, তবে তা ‘স্লিপ এপনিয়া’ নামক গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তখন অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।”
