২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই বিতরণ নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছে যাবে। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক বই জেলাপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ভোলা জেলা প্রশাসকের হলরুমে অনুষ্ঠিত ‘পিইডিপি-৪ ও চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম সমাপ্তির কৌশল নির্ধারণ’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “শিক্ষকদের অবস্থার উন্নয়নে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আমরা ১০ম গ্রেড দিয়েছি এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। আশা করছি, সফল হবো।”
তিনি জানান, যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, সেসব বিদ্যালয় মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নে অবকাঠামো, শিক্ষক উন্নয়ন ও পাঠদান পদ্ধতিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পরিষদ হলরুমে ‘প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
ভোলা জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-৪ অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আতিকুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক মিরাজুল ইসলাম উকিল, ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল হক আজাদসহ জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে শিক্ষক-অভিভাবক-প্রশাসন সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।”
